সন্তানের মাতা পিতা হওয়া প্রত্যেক বিবাহিত দম্পতির বা স্বামী-স্ত্রীর ঐকান্তিক বাসনা। সন্তান ধারণের পর সুষ্ঠুভাবে জন্মদান করানোর মাধ্যমে একজন নারীর ও পরিবারের পূর্ণতা লাভ হয়।
আসুন এবার তাহলে জেনে নেই বন্ধ্যাত্ব কি…
বন্ধ্যাত্ব হলো এমন একটি অবস্থা, যখন একটি দম্পতি সন্তান ধারণ করতে বা জন্মদানে অসফল।
ডাক্তারি ভাষায়, যদি কোন দম্পতি বা স্বামী-স্ত্রী কোন ধরনের প্রতিরোধক বা জন্মনিয়ন্ত্রক ব্যবহার ছাড়া এক বছর (কিছু ক্ষেত্রে দেড় বা দুই বছর) শারীরিক মেলামেশা করার পরেও সন্তান ধারনে সক্ষম না হন তখন তাকে বন্ধ্যাত্ব বলে।
বন্ধ্যাত্ব দুই ধরনের
যেমনঃ
প্রাইমারি:
যে দম্পতির কখনো সন্তান হয়নি।
সেকেন্ডারি:
যে দম্পতির পূর্বে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছেনা।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ দম্পতি বিয়ের পর সাধারণ চেস্টায় প্রথম বছরে গর্ভধারণে সমর্থ হন।১০ শতাংশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরে গর্ভধারণ হয়।আর বাকি যে ১০ শতাংশ থাকে, তাদের মূলত চিকিৎসার প্রয়োজন পরে।অতএব বিয়ের পর সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এক / দুই বছর নিজেরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সহায়তা নেয়া উচিত। বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে যে শুধুমাত্র মেয়েরা দায়ী, এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারন চিকিৎসকদের মতে বন্ধ্যাত্বের ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে নারী, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়ের সমস্যা থাকে।