ভিজিটরস প্রোফাইল

মূলত মেলার আয়োজনটি কাদের জন্য, কোন বয়সের মানুষদের জন্য, কোন ধরনের রোগীদের জন্য…

রোগীদের জন্য –

বিয়ের এক বছর হয়ে গেছে কিন্তু সন্তান হচ্ছে না বা বুঝতে পারছেন না, কি সমস্যার কারণে বাচ্চা হচ্ছে না, বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হচ্ছে না, অথবা ডাক্তাররাও বুঝতে পারছে না কি সমস্যার কারনে বাচ্চা হচ্ছে না, তাহলে অবশ্যই মেলায় এসে আপনার রোগ সমস্যা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে ফ্রি পরামর্শ করতে পারেন।
বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগছেন, কিন্তু কোন কিছুতেই কোনো কূল কিনারা পাচ্ছেন না।
দ্বিতীয়বার সন্তান নিতে চাচ্ছেন, কিন্তু ফলাফল পাচ্ছেন না।
পূর্বে বাচ্চা হয়েছে/ গর্ভধারণ হয়েছে, যেকোনো কারনেই হোক গর্ভপাত হয়েছে। কিন্তু এর পর থেকে আর গর্ভধারণ হচ্ছে না, ডাক্তাররাও গর্ভধারণ না হওয়ার কোনো কারণ খুজে পাচ্ছেন না।
সন্তান হচ্ছে না? চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন? বুঝতে পারছেন না সঠিক পরামর্শ কোথায় গেলে পাবেন?
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন IUI, IVF, ICSI সম্পর্কে জানতে চাইলে আসতে পারেন আমাদের মেলায়।
IUI চেষ্টা করে ফলাফল পাচ্ছেন না, এখন IVF করতে চান।আপনার জন্য আমাদের মেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
IVF করতে চাচ্ছেন বা পূর্বে IVF করেছেন পুনরায় করতে চাচ্ছেন।
IVF ট্রিটমেন্ট নিয়ে কাজ হচ্ছে না, এখন ICSI করতে চাচ্ছেন।
আপনি হয়তো অমুকের কাছে কোন ফার্টিলিটি সেন্টার এর কথা শুনেছেন বা তমুকের কাছে কোনো ফার্টিলিটি সেন্টার এর সাকসেস রেট ও খরচ সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না, ওই ফার্টিলিটি সেন্টার এর পাশেই অন্য একটা ফার্টিলিটি সেন্টার আছে যাদের চিকিৎসার সাকসেস রেট আরো বেশি এবং অনেক কম খরচেই আপনি সঠিক চিকিৎসাটি নিতে পারতেন।

মেডিকেল প্রোফেসনালদের জন্য–

প্রতিটি মানুষের বন্ধ্যাত্বের কারণসমূহ জানা থাকা দরকার। কোন কাজগুলো করলে বা কি কি কারনে ভবিষ্যতে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে তা জানলে এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করলে অনেকেই এই সমস্যা থেকে বেচে যাবেন।
নার্সিং ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে তারা এই মেলার তথ্য কাজে লাগাতে পারবে।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য এটি তাদের পড়াশোনার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। মেলায় দেশে-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ফার্টিলিটি সেন্টার এর আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে, জ্ঞান অর্জন করতে সহজ হবে।
প্যারামেডিক্স ডাক্তার বা পল্লি চিকিৎসকরা এই মেলা থেকে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তাদের রোগীদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
হারবাল ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরাও এই মেলায় এসে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যপকতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাদের কাছে আসা এই বিষয়ের জটিল রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে ধারনা দিতে পারবেন।
ধাত্রিমাতারা যেহেতু সন্তান প্রসবের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত, তাই তারাও এই মেলায় এসে উন্নত পদ্ধতির চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে তার এলাকার ভুক্তভোগী মানুষদের এই চিকিৎসাগুলো সম্পর্কে জানাতে পারবেন।

ফার্মাসিটিক্যাল ও সার্জিক্যাল কোম্পানি –

দেশী ও বিদেশী ফার্মাসিটিক্যাল ও সার্জিক্যাল কোম্পানি মেলায় অংশগ্রহণ করে দেশি ও বিদেশী উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি, ব্যবহৃত ঔষধ ও সরঞ্জামাদি সম্পর্কে বিশদ ধারণা লাভ করতে পারবে।

ওয়েবসাইটের এই প্রান্তে এসে অবশ্যই আপনারা বন্ধ্যাত্ব এর ব্যাপকতা সম্পর্কে ধারণা করতে পারছেন। পুরো বিশ্বের জনসংখ্যা আটশ দশ কোটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, সারা বিশ্বে প্রতি ছয়জনে একজন তার জীবদ্দশায় বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় পড়েন। প্রতি ছয়জনে একজন হলে, ৮১০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১৩৫ কোটি মানুষ বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

কিছুদিন আগেও করোনা মহামারীর আক্রমণে পুরো বিশ্ব নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমানের রিপোর্ট অনুযায়ী আজ পর্যন্ত প্রায় ৭৭ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু ভয়াবহ এই ছোঁয়াচে রোগের এত বড় সংখ্যার থেকেও বন্ধাত্বে ভুক্তভোগী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। যেখানে সদ্য ভূমিষ্ট শিশু থেকে শেষ বয়সের বৃদ্ধরা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আর বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় পড়েন সাধারণত ৩২ থেকে ৪০ বছর বয়সের দম্পতিরা। আশ্চর্যের বিষয় হলো, বন্ধ্যাত্বের সংখ্যার কাছে করোনার মতো ছোঁয়াচে মহামারিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অতি নগন্য হলেও, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বন্ধ্যাত্বকে একটি লজ্জাজনক বিষয় হিসেবেই মূল্যায়ন করা হয়ে আসছে। কিন্তু এর ব্যাপকতা জানার পরও এই বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা, মানুষদের সচেতন করা এবং লজ্জা না করে একটি স্বাভাবিক রোগ হিসেবে আমাদের সমাজে মূল্যায়ন কতটা জরুরী তা আপনাদের কাছেই প্রশ্ন রাখলাম!