কোন প্রকার জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন না করে যদি কোন দম্পতি একত্রে এক বছর থাকার পরেও গর্ভধারণনা হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে তাদের কে বন্ধ্যা দম্পতি হিসাবে গণ্য করা হয়।
বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসারকয়েকটি ধাপ রয়েছে। এখন আমরা জেনে নিব প্রাথমিক ধাপের কিছু চিকিৎসা সম্বন্ধে। প্রাথমিকধাপে একজন ডাক্তার সাধারণত রোগীদের সাথে তাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে, বিয়ের সময়নিয়ে কথা বলে ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, কেন গর্ভধারণ হচ্ছে না তার কারণ খুঁজে বের করারচেষ্টা করা হয় এবং প্রাথমিক কিছু ঔষধ দিয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঔষধ গুলো মেয়েদেরডিম্বাণু বৃদ্ধি এবং পুরুষদের শুক্রানু বৃদ্ধির জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। চিকিৎসার প্রাথমিকদিকে ঔষধ গুলো সাধারনত ট্যাবলেট বা ইনজেকশন আকারের হয়ে থাকে।
বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসারক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে জীবন যাত্রার পরিবর্তন করতে হয়। জীবনযাত্রা পরিবর্তন ওস্বাস্থ্যসম্মত করার বিভিন্ন প্রকার উপায় রয়েছে, যেমনঃ
মেয়েদের ক্ষেত্রেঃ
– খাদ্যাভ্যাস ঠিককরা।
– ক্যালরিযুক্ত খাবারকম খাওয়া।
– ঘরের তৈরি রান্নাকরা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা।
– এছাড়াও রয়েছে ব্যায়ামকরা।
– শরীরের স্বাভাবিকওজন রক্ষা করা।
– দিনে ঘুমানো ও রাতেজেগে থাকার অভ্যাস পরিহার করা।
এবং মেয়েদের সঠিকবয়স থাকতেই বাচ্চা নেয়ার মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া।
পুরুষদের ক্ষেত্রেঃ
– ঔষধ দিয়ে শুক্রানুবাড়ানো যেতে পারে।
– পুরুষদের প্রতি মিলিতেপ্রায় ৪ – ১২কোটি শুক্রাণু থাকার কথা। যদি এর চেয়ে কম হয় তাহলে অনেক সময়কৃত্তিম গর্ভধারণে যেতে হয়।
– যদি পুরোপুরি অবস্ট্রাকশনহয়ে থাকে অর্থাৎ শুক্রাণু আসছে না তাহলে দেখতে হবে অন্ডকোষ সক্রিয় আছে কিনা।
– অন্ডকোষ যদি সক্রিয়থাকে তাহলে ওখান থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে শুক্রাণু নিয়ে এসে টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে সন্তানজন্ম দেয়া যায়।